কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর গাড়িতে হামলার ঘটনায় ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো বিল্লাল হোসেন (৩৮) এবং দুর্লভ হোসেন (৩২)। শৈলকুপা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আল মেহেদীর নেতৃত্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়। ভিসি ড. আসকারীর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন।
গ্রেফতারের পর ডাকাতদের সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত ২টি চায়নিজ করাত, ৫টি রামদা ও ১টি চাপাতি, উপাচার্যের কাছ থেকে ঘটনার সময় হারিয়ে যাওয়া নোকিয়া মোবাইল ফোন, ইবির অ্যাম্বুলেন্স ডাকাতির সময় ম্যাক্সিমাস মোবাইল ও নগদ ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত বিল্লাল হোসেন শৈলকুপা উপজেলার হরিনাকুন্ডু ইউনিয়নের হাজাম পাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ মোল্লার ছেলে এবং দুর্লভ হোসেন একই এলাকার মৃত মাহাতাব হোসেনের ছেলে। আটককৃতদের দেয়া তথ্যমতে ৪জন ডাকাতির কাজে অংশগ্রহণ করেছিল বলে জানা গেছে।
শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীত একজন কর্তাব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনা খুবই কষ্টদায়ক এবং আমরা জড়িতদের ধরতে খুবই তৎপর ছিলাম। দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এদের সাথে আরো এক ডাকাত জড়িত রয়েছে। তাকে ধরার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে শৈলকুপার বড়দাহ নামক স্থানে রাত পৌনে ৪টার দিকে নিজ গাড়িতে হামলার শিকার হন ইবি উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। ঘটনার পর শৈলকুপা থানায় দুটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।